ঢাবিতে বিনা খরচে গণবিয়ের আয়োজন, পাত্রপাত্রীর সন্ধানে শিক্ষার্থীরা
জুলাই বিপ্লবের পরে স্বাধীনতা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বাধীনতা ভোজ ও গণবিবাহের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই বিয়ের সকল খরচ বহন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে শিক্ষার্থীদের পাত্র-পাত্রী খুঁজতে দেখা গেছে।
শেহরিন আক্তার ইপা নামে এক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এক ফেসবুক গ্রুপে লিখেছেন, ‘জহুরুল হক হলে অনুষ্ঠিতব্য স্বাধীনতা ভোজ উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হতে যাচ্ছে লায়লাতুল গণবিবাহ। আপনারা যারা জহুরুল হক হলের সাবেক বা বর্তমান তারা চাইলে, আপনার পার্টনারকে রাজি করিয়ে আয়োজকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কিংবা পাত্রীরা জহুরুল হক হলের পাত্র চেয়ে যোগাযোগ করতে পারেন! ঐদিনের সকল খরচ জহুরুল হক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বহন করবে। আমি একজন প্রফেশনাল মেহেদি আর্টিস্ট হিসেবে বিয়ের মেহেদি পরানোতে বিশেষ ভূমিকা রাখব বলে আশা করছি!’
এ বিষয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী জাকির হোসেন বলেন, ‘বিয়ে সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক। গণবিবাহ একটি প্রসংশনীয় উদ্যোগ। তবে বিয়ের প্রোগ্রামটা যেন দুই পরিবার সম্মতিতেই হয় এবং ছেলে-মেয়ে দুই পক্ষেরই বাবা-মা বা অভিভাবক যেন উপস্থিত থাকে সেটা নিশ্চিত করবেন বলে আশা করছি।’
গণবিয়ের মূল উদ্যোক্তা হলের শিক্ষার্থী আল আমিন সরকার বলেন, ‘২০ সেপ্টেম্বর জহুরুল হক হলের ‘স্বাধীনতা ভোজ ২.০’ উপলক্ষ্যে গণবিবাহের আয়োজন করতে চাই। আপনারা যারা ক্যাম্পাসের পাত্রপাত্রী বিবাহ করতে ইচ্ছুক, তারা চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। ওই দিনের সব খরচ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বহন করব ইনশাআল্লাহ। ফিল ফ্রি টু ইনবক্স মি। পাত্র যেহেতু জহুরুল হক হলের হবেন, তাই প্রভোস্ট স্যার অনুমতি দেবেন বলে আশা করি।’
তবে এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারুক শাহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক ইন্সটিটিউট, হল গণবিয়ের জায়গা না। আমরা এটার অনুমতি দিতে পারি না। আর এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা এখনো অনুমতি চাইতেও আসেনি। অনুমতি চাইলেও দেওয়া হবে না। তবে শিক্ষার্থীরা চাইলে অন্য কোথাও এটা আয়োজন করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘একটি রক্ষক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ট্রমাটিক সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে সেটা দূর করতে, শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ঠিক করতে, ক্লাসের জন্য প্রস্তুত করতে আমরা ‘স্বাধীনতা ভোজে’র ব্যবস্থা করছি। এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজনও থাকবে। দিনটিতে নবীন শিক্ষার্থীদের হলে বরণ করা হবে। তাছাড়া সিনিয়র শিক্ষার্থী যারা হল থেকে বিদায় নেবে তাদের জন্য বিদায় অনুষ্ঠানের মতো হবে এ আয়োজন।’