সন্ধ্যায় বাঁচা-মরার ম্যাচে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা
একইসঙ্গে ফুটবলের মহাদেশীয় শিরোপা, বিশ্বকাপ আর অলিম্পিক– এই তিন আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতার নজির নেই বিশ্বের কোনো দলেরই। আর্জেন্টিনার সামনে সেই সুযোগ আছে বটে। তবে প্যারিস অলিম্পিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে ২-১ গোলের হারে সেই স্বপ্নে বড় একটা ধাক্কাই খেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা।
নাটকীয় এক ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল ইভেন্টের প্রথম দিনে। মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচে দেড়ঘণ্টা পর বাতিল করা হয়েছিল তাদের গোল। সেই নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বেশ। অবশ্য সেটাকে পেছনে ফেলেই এবার সামনে এগুতে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। বাংলাদেশ সময় শনিবার সন্ধ্যায় অলিম্পিকের ফুটবল ইভেন্টের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে তারা।
সন্ধ্যা ৭টায় এশিয়ান দেশ ইরাকের বিপক্ষে মাঠে নামবে আলবিসেলেস্তেরা। এশিয়ান দেশটি নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে। তারা আছে শীর্ষেই। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাই বেশ উজ্জীবিত দলটি। বিপরীতে আর্জেন্টিনা শিবিরে আছে বাদ পড়ার শঙ্কা। এই ম্যাচ হারলে কার্যত তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে অলিম্পিক থেকে।
অতীত ইতিহাস বলছে বিশ্বকাপ জেতা দলগুলো অলিম্পিকের পদকের লড়াইয়ে বরাবরই পিছিয়ে থাকে। ২০০৪ এবং ২০০৮ সালের অলিম্পিক ফুটবলে সোনাজয়ী আর্জেন্টিনার জন্য তাই কাজটা কিছুটা কঠিন। তারচে বড় কথা, নিকোলাস ওতামেন্ডির দলকে খেলতে হবে বৈরি পরিস্থিতির মাঝে।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল আর্জেন্টিনা জিতেছিল ফ্রান্সকে হারিয়ে। আকাশী-সাদা শিবিরের ওপর তাই স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ কাজ করছে ফ্রেঞ্চ ভক্তদের। এছাড়া সম্প্রতি আর্জেন্টাইন দল কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতার পর ফ্রান্সকে নিয়ে বর্ণবাদী এক সঙ্গীতে জয় উদযাপন করে। যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তোলে আর্জেন্টাইনদের জন্য।
মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচেও বেশ ভুগতে হয়েছে আর্জেন্টিনা দলকে। বল পায়ে গেলেই শুনতে হয়েছে দুয়োধ্বনি। মানসিক চাপ আরও বেড়েছে দলের তারকা থিয়াগো আলমাদার চুরির ঘটনাতে।