ইসরায়েলি হামলায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী নিহত
ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান অভিযানে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রধান হানি আল জাফরি নিহত হয়েছেন। সোমবার গাজা উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটির একটি ক্লিনিকে নিহত হন তিনি।
এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে এই তথ্য। তবে পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (আইডিএফ) দাবি করেছে, বিমান অভিযানে হানি আল জাফরি নন, নিহত হয়েছেন হামাসের কমান্ডার ও অস্ত্র প্রস্তুত বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ সালাহ।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সালাহ ছিলেন সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হামাসের কৌশলগত সামরিক অস্ত্র প্রস্তুত প্রকল্পের নির্বাহী। এই প্রকল্পে হামাসের যত লোকবল রয়েছে, তাদের সবাই সালাহর নির্দেশ মেনে চলে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার পর গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। সেই অভিযান এখনও চলছে।
হামাস যোদ্ধাদের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন মানুষ। এছাড়া ইসরায়েল থেকে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরেও নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৮ হাজার জনে। এই নিহতদের শতকরা ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
সাধরণ বেসামরিকদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হামাস যোদ্ধাও নিহত হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গোষ্ঠীটির লোকবল অর্ধেকে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর— তিন দেশ গত আট মাস ধরে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ। কারণ হামাস চাইছে গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধের অবসান। অন্যদিকে ইসরায়েল চাইছে হামাসকে চিরতরে ভেঙে ফেলতে। তাই যুদ্ধবিরতির পক্ষে বললেও এই মুহূর্তে গাজায় যুদ্ধের অবসান চাইছে না ইসরায়েল।