জাতীয়

গাবতলীতে নজর কাড়ছে বড় গরু, বিক্রি বেশি ছোট-মাঝারি আকৃতির

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ জুন। এই ঈদে মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন। তাই তো সামর্থ্যবান মুসলমানরা কোরবানির জন্য উৎসবের আমেজে পশু কিনে থাকেন। কোরবানির পশু কেনাকাটায় সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি থাকে গাবতলীর পশুর হাটে। কারণ এই হাটে ছোট থেকে বড় গরু, আবার দুম্বা, উটসহ নানা জাতের পশু ক্রেতাদের নজর কাড়ে।

শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে এখনো সেভাবে পশু কেনাকাটা শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশাল বিশাল আকৃতির গরু গাবতলীর পশুর হাটে নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। এগুলো এখনো তেমন বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতারা। তবে ছোট থেকে মাঝারি আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে। হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি, তাই দামও একটু বেশি বলে জানান ক্রেতারা।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, গাবতলীর পশুর হাটে ছোট আকৃতির গরু ৬০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার একটু বড় সাইজের গরু দেড় লাখ থেকে দুই লাখে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকৃতির গরু দুই লাখ থেকে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি দামের গরুগুলোকে বড় আকৃতির ধরা হচ্ছে। হাটে বেশিরভাগ ক্রেতাকে ছোট থেকে মাঝারি সাইজের গরু কিনতে দেখা গেছে।

গাবতলীর পশুর হাটে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বড় আকৃতির গরু। বড় আকৃতির গরু ব্যাপারী একরাম আক্ষেপ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে ক্রেতাদের কোনো চাহিদাই নেই। আমাদের গরুর মাংসের দাম বলে ৪০০ টাকা কেজি। মাংস হিসেবে কেউ দাম বলছে না। আমার এই গরুটার ওজন ২৬ মণের বেশি। এখন পর্যন্ত ক্রেতারা ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছে। আমরা ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছি। তবে ক্রেতারা যে দাম বলছে তাতে মাংসের দামই বলছে না।

এই ব্যাপারী বলেন, এবার ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি, সেই তুলনায় বড় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে।

আশুলিয়া থেকে নয়ারাজা নামের গরু নিয়ে আসা আয়েশা অ্যাগ্রোর মালিক বলেন, আমার নয়ারাজার ওজন ৩৮ মণের বেশি হবে। ক্রেতারা আসছে, দেখছে, দামও বলছে। এখন পর্যন্ত নয়ারাজার দাম ৯ লাখের বেশি বলেছে ক্রেতারা। আমি ১৪ লাখ টাকা চেয়েছি। তবে ক্রেতারা নিতে চাইলে সমন্বয় করে দিয়ে দেব। আমি এখন পর্যন্ত একটা গরু বিক্রি করেছি, নয়ারাজাকে নিয়েও আমি আশাবাদী।

গাবতলীতে গরু কিনতে এসেছেন মিরপুরের বাসিন্দা হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, আমি ছোট সাইজের মধ্যেই একটু বড় গরু কিনেছি। আমার এই সাইজের গরু কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আমার বাজেটের মধ্যেই পেয়ে গেছি, এজন্য কিনে ফেললাম।

শ্যামলী থেকে গাবতলীতে গরু কিনতে আসা করিম বলেন, আমি ছোট সাইজের গরু কিনলাম। আগেভাগে কিনে ঝামেলা থেকে রক্ষা পেলাম। কারণ আগামী দুইদিন অনেক ভিড় হবে। আমি ৬৩ হাজার টাকায় কোরবানির জন্য ছোট সাইজের গরু কিনেছি। বাজেটের মধ্যে হয়ে গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading