কোনো ব্যক্তির নামে একাধিক গাড়ি বা মোটরগাড়ি থাকলে দিতে হবে অতিরিক্ত সারচার্জ। একের অধিক প্রত্যেকটি গাড়ির জন্য উল্লিখিত গাড়ির বিপরীতে নানা হারে পরিবেশ সারচার্জ দিতে হবে। গাড়ির নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকারী কর্তৃপক্ষ এই পরিবেশ সারচার্জ সংগ্রহ করবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির নামে একাধিক মোটর গাড়ি থাকলে প্রত্যেকটি গাড়ির জন্য নিম্নবর্ণিত গাড়ির বিপরীতে সারচার্জ দিতে হবে।
১৫০০ সিসি বা ৭৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য পরিবেশ সারচার্জের হার ২৫ হাজার টাকা, ১৫০০ সিসি বা ৭৫ কিলোওয়াটের অধিক কিন্তু ২০০০ সিসি বা ১০০ কিলোওয়াটের অধিক নয় এমন প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য ৫০ হাজার, ২০০০ সিসি বা ১০০ কিলোওয়াটের অধিক কিন্তু ২৫০০ সিসি বা ১২৫ কিলোওয়াটের অধিক নয় এমন প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য ৭৫ হাজার, ২৫০০ সিসি বা ১২৫ কিলোওয়াটের অধিক কিন্তু ৩০০০ সিসি বা ১৫০ কিলোওয়াটের অধিক নয় এমন প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য দেড় লাখ টাকা, ৩০০০ সিসি বা ১৫০ কিলোওয়াটের অধিক কিন্তু ৩৫০০ সিসি বা ১৭৫ কিলোওয়াটের অধিক নয় এমন প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য দুই লাখ টাকা এবং এর চেয়েও বেশি সিসি বা কিলোওয়াট হলে অর্থাৎ সাড়ে তিন হাজার সিসি বা ১৭৫ কিলোওয়াটের অধিক প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা সারচার্জ দিতে হবে।
তবে শর্ত থাকে যে, একাধিক গাড়ির ক্ষেত্রে যে গাড়ির উপর সর্বনিম্ন হারে পরিবেশ সারচার্জ আরোপিত হবে ওই গাড়ি ব্যতীত অন্যান্য গাড়ির বিপরীতে পরিবেশ সারচার্জ পরিশোধ করতে হবে। পরিবেশ সারচার্জ গাড়ির নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উৎসে সংগৃহীত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।