বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসছেন মুসল্লিরা
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আলমী শূরার বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসতে শুরু করেছেন তাবলিগের সাথীরা। আগামী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব। তবে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই বাস, ট্রাক, পিক-আপে করে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন রাকিবুল ইসলাম। তিনি জানান, স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে তারা ১৭ জনের একটি তাবলীগ জামাত ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। খুব ভোরে মিনিবাসে করে রওনা দিয়েছিলেন। সময় যত ঘনিয়ে আসবে ভিড় ততই বাড়বে, তাই ভোরের শীত উপেক্ষা করে মিনিবাসে করে ভোগান্তি ছাড়াই ইজতেমা ময়দানে এসেছেন।
মানিকগঞ্জের ঘিওর থেকে ১৩ জনের তাবলীগের সাথী নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন আমজাদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, সমাজের মসজিদের ১৩জনের সাথী নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ইজতেমায় ময়দান প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। ইজতেমা পরিচালনা করার জন্য ময়দানসহ বাদবাকী সব কিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। মুসল্লিরা গতরাত থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। সকালের দিকে মুসল্লি আসার সংখ্যা বেড়েছে। সারাদিনে মাঠ ভরে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটের একাধিক টিম দায়িত্বে থাকবে।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম জানিয়েছেন, এবারের ইজতেমায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের ছয় সহস্রাধিক সদস্য ছাড়াও র্যাব, ডিএমপি এবং সাদা পোশাক ও গোয়েন্দা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ইজতেমা এলাকায় কোনো প্রকার অবৈধ দোকান এবং হকারদের অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।