আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাই ও তার দুই সমর্থকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসির) নির্দেশে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) শৈলকূপা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ওয়াজিদুর রহমানের আদালতে এ মামলা করা হয়। শৈলকূপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. তায়জুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
আসামিরা হলেন– ঝিনাইদহ-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আব্দুল হাই, শৈলকূপা উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও শৈলকূপা উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন।
এর আগে রোববার দুটি চিঠিতে ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুল হাই ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য শৈলকূপা উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশ দেয় কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ১৮ ধারার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়। আদালত আগামী ২৬ ডিসেম্বর মামলা দুটির বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
অভিযোগে আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, গত ১০ ডিসেম্বর আসামি মো. আব্দুল হাইয়ের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শৈলকূপা উপজেলাধীন ১৪নং দুধসর ইউনিয়নের ভাটাই বাজার সংলগ্ন মহাসড়কে মহড়া দেয় ও জনগণের মনে ভীতি সঞ্চার করে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৮(ক), ১১(ক) ও ১২ বিধি লঙ্ঘন করে ওই বিধিমালার ১৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে।
অভিযোগে অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে বলা হয়েছে, আসামি মো. আব্দুল হাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ এর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় শৈলকূপা থানাধীন ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে ওই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আসামি আব্দুল হাকিম এবং আসামি মাহমুদুল হাসান মামুন তাদের অনুসারীদের নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদের উদ্দেশে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। আসামিরা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৮(ক), ১১(ক) ও ১২ বিধি লঙ্ঘন করে ওই বিধিমালার ১৮ বিধির শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।